অভিজিৎ দত্ত -
ইদানীং
ফেসবুকের কল্যাণে লিটল ম্যাগাজিনের স্বর্ণযুগ চলছে বললেও অত্যুক্তি হবে
না । তবে যদি একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখি যায়, তাহলে দেখবেন প্রতি বছর
দশ থেকে পনেরো শতাংশ পত্রিকা প্রতিবছর জন্মগ্রহণ করছে এবং প্রায় সমসংখ্যক
পত্রিকার দুই বা তিনটে সংখ্যার পর অকালমৃত্যু ঘটছে। কিন্তু এর মাঝেও কিন্তু
এমন কিছু পত্রিকা রয়েছে যেগুলো দাপটের সাথে নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে
প্রকাশিত হচ্ছে । এদের মধ্যেও বিগত পাঁচ বছর যাবত নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে এই
ধরণের পত্রিকার সংখ্যা বোধহয় হাতে গোনা যায় । তবে আর আপনাদের ধৈর্যচ্যুতি
ঘটিয়ে এই ভূমিকা আর দীর্ঘায়িত না করে সোজাসুজি বলে দিচ্ছি ।
এত কথা বলার একটাই উদ্দেশ্য।রাজকুমার ঘোষের সম্পাদনায় একটি ষাণ্মাসিক সাংস্কৃতিক পত্রিকা #আমাদের_লেখা ঠিক এবার পঞ্চমবর্ষ অতিক্রম করে গৌরবের সাথে ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করল।
এই সংখ্যার বিশেষত্ব হলো এর মাঝে রয়েছে ছোট এবং অনু গল্প মিলিয়ে মোট বিয়াল্লিশটা গল্প । এবং প্রতিটি গল্পই দারুণ উপভোগ্য তথা মনোগ্রাহী ।
এবার আসছি গল্পগুলোর পর্যালোচনায় । মারাত্মক রকমের সাহসীক দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পেলাম দুজন লেখকের দুটো গল্পের মধ্যে । একটি হচ্ছে #মৌলি_বণিক এর "বৃত্তবন্দী বাসনা" পর্ণোগ্রাফিক সাইটের ওপরে যেখানে ডিভোর্সের আবেদনকারী এক যুগল উভয়েই খুঁজে চলেছে একজন বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী এবং আরেকটি গল্প সমকামিতার ওপর। লেখিকা সদ্যপ্রয়াত পায়েল খাঁড়া । গল্পের নাম 'একটু গল্পের মতো।' গল্প দুটির বিষয় নির্বাচন এবং ভাষার দখল সত্যিই অপূর্ব । আবার নতুন করে অনুভব করলাম পায়েলকে হারানোর ব্যাথা।
আবহমান কাল ধরে চলতে থাকা ইলিশ-চিংড়ির ড্যুয়েট দেখলাম #মোনালিসাসাহাদের "বাঘ" গল্পটিতে এবং ভৌতিক অথচ ঠিক ভূত নয় (অপার্থিব বলা যেতে পারে) এরকম একটি গল্প, "ক্রেস্টো"। লেখকের নাম #আর্য্যতীর্থ । উনি ছাড়া আর কারই বা মাথায় আসবে এমন একটি প্লট !!! শতাব্দীর চমক পেলাম নির্মাল্য বিশ্বাসের কাছে যিনি খাতায় কলমে প্রমাণ করে দেখালেন যে সাড়ে চার লাইনেও একটা গোটা উপন্যাস লিখে ফেলা যায় । আর সেই একই কাণ্ড ঘটালেন নির্মলেন্দু কুণ্ডু যিনি একটি নাটক মঞ্চস্থ করলেন নয় লাইনে তিনটি দৃশ্যের মাধ্যমে ।
আধুনিক মেয়েরা সবসময়ই কি ধরণের টেনশনে ভোগে তারই এক বাস্তব রূপ দেখলাম রাজকুমার ঘোষের কলমে। দীপক আঢ্য লেখনীর ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তুলেছেন একটি "মি টু" র গল্প মিড ডে ন্যাপ নাম দিয়ে এবং সাথে মৌ দাশগুপ্তর পথকুড়ুনি কঞ্চির গল্পটাতেও বেশ অভিনবত্ব রয়েছে যে অভাবের তাড়নায় নিজের গর্ভপাত ঘটিয়ে কালচক্রে নিজেই এক সদ্যোজাত পরিত্যক্ত শিশুকে বুকে তুলে নেয় ।
নাহ। আর বেশি বলব না, যদিও আরও বেশ কিছু সুন্দর অনু এবং ছোটগল্প রয়েছে যেগুলোর অধিকাংশই প্রাসঙ্গিক এবং আপনাকে সমানভাবে আকৃষ্ট করবে।
অনুরোধ থাকল বইটি পড়ে দেখবার জন্য । ভরসা দিতে পারি আপনি ঠকে যাবার চান্স নেই। বাকি কথা আপনার পড়া শেষ হলে বলব খন।
এত কথা বলার একটাই উদ্দেশ্য।রাজকুমার ঘোষের সম্পাদনায় একটি ষাণ্মাসিক সাংস্কৃতিক পত্রিকা #আমাদের_লেখা ঠিক এবার পঞ্চমবর্ষ অতিক্রম করে গৌরবের সাথে ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করল।
এই সংখ্যার বিশেষত্ব হলো এর মাঝে রয়েছে ছোট এবং অনু গল্প মিলিয়ে মোট বিয়াল্লিশটা গল্প । এবং প্রতিটি গল্পই দারুণ উপভোগ্য তথা মনোগ্রাহী ।
এবার আসছি গল্পগুলোর পর্যালোচনায় । মারাত্মক রকমের সাহসীক দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পেলাম দুজন লেখকের দুটো গল্পের মধ্যে । একটি হচ্ছে #মৌলি_বণিক এর "বৃত্তবন্দী বাসনা" পর্ণোগ্রাফিক সাইটের ওপরে যেখানে ডিভোর্সের আবেদনকারী এক যুগল উভয়েই খুঁজে চলেছে একজন বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী এবং আরেকটি গল্প সমকামিতার ওপর। লেখিকা সদ্যপ্রয়াত পায়েল খাঁড়া । গল্পের নাম 'একটু গল্পের মতো।' গল্প দুটির বিষয় নির্বাচন এবং ভাষার দখল সত্যিই অপূর্ব । আবার নতুন করে অনুভব করলাম পায়েলকে হারানোর ব্যাথা।
আবহমান কাল ধরে চলতে থাকা ইলিশ-চিংড়ির ড্যুয়েট দেখলাম #মোনালিসাসাহাদের "বাঘ" গল্পটিতে এবং ভৌতিক অথচ ঠিক ভূত নয় (অপার্থিব বলা যেতে পারে) এরকম একটি গল্প, "ক্রেস্টো"। লেখকের নাম #আর্য্যতীর্থ । উনি ছাড়া আর কারই বা মাথায় আসবে এমন একটি প্লট !!! শতাব্দীর চমক পেলাম নির্মাল্য বিশ্বাসের কাছে যিনি খাতায় কলমে প্রমাণ করে দেখালেন যে সাড়ে চার লাইনেও একটা গোটা উপন্যাস লিখে ফেলা যায় । আর সেই একই কাণ্ড ঘটালেন নির্মলেন্দু কুণ্ডু যিনি একটি নাটক মঞ্চস্থ করলেন নয় লাইনে তিনটি দৃশ্যের মাধ্যমে ।
আধুনিক মেয়েরা সবসময়ই কি ধরণের টেনশনে ভোগে তারই এক বাস্তব রূপ দেখলাম রাজকুমার ঘোষের কলমে। দীপক আঢ্য লেখনীর ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তুলেছেন একটি "মি টু" র গল্প মিড ডে ন্যাপ নাম দিয়ে এবং সাথে মৌ দাশগুপ্তর পথকুড়ুনি কঞ্চির গল্পটাতেও বেশ অভিনবত্ব রয়েছে যে অভাবের তাড়নায় নিজের গর্ভপাত ঘটিয়ে কালচক্রে নিজেই এক সদ্যোজাত পরিত্যক্ত শিশুকে বুকে তুলে নেয় ।
নাহ। আর বেশি বলব না, যদিও আরও বেশ কিছু সুন্দর অনু এবং ছোটগল্প রয়েছে যেগুলোর অধিকাংশই প্রাসঙ্গিক এবং আপনাকে সমানভাবে আকৃষ্ট করবে।
অনুরোধ থাকল বইটি পড়ে দেখবার জন্য । ভরসা দিতে পারি আপনি ঠকে যাবার চান্স নেই। বাকি কথা আপনার পড়া শেষ হলে বলব খন।
নিজের লেখার কমেণ্ট করা খুবই কঠিন । তবে একটা কথা বলছি। কম কথায় কিভাবে অনেক শব্দের সৃষ্টি করা যায় সেটা শিখতে চাইলে "আমাদের লেখা" পত্রিকার এই সংখ্যাটি অবশ্যই পড়বেন।
ReplyDeleteApnake oshesh dhonyobaad Janalam shroddheyo Abhijit Kumar Dutta Kaku.
DeleteApnar path protikriya Amar kache osadharon ek prapti