পত্রিকার নামঃ আমাদের লেখা
সম্পাদকঃ রাজকুমার ঘোষ
সহ সম্পাদকঃ নির্মলেন্দু কুন্ডু ও বিদিশা ব্যানার্জি
সম্পাদকঃ রাজকুমার ঘোষ
সহ সম্পাদকঃ নির্মলেন্দু কুন্ডু ও বিদিশা ব্যানার্জি
আমাদের লেখা পত্রিকার ষষ্ঠ বর্ষের দশম সংখ্যা অর্থাৎ বিশেষ গল্প সংখ্যা
প্রকাশিত হয়েছে তারিখে। আজকে আমি এই পত্রিকাটি পড়ে শেষ করলাম। পত্রিকাটির
দাম খুবই কম, মাত্র চল্লিশ টাকা। চল্লিশ টাকায় আপনি পেয়ে যাবেন বিয়াল্লিশটা
গল্প। যার মধ্যে বেশিরভাগ গল্প অসাধারণ।
সমাজের সুন্দর চিত্র ফুটে উঠেছে লেখিকা সহেলী রায়ের "মৃত্যু থেকে জন্ম" গল্পে। লেখক রাজকুমার ঘোষের "ট্যাক্সি ড্রাইভার" গল্পের শেষটা অসাধারণ, একেবারেই একঘেয়ে না। সমাজের এক কঠিন দিক তুলে ধরেছেন লেখক বাপ্পাদিত্য দাস "মা হওয়ার স্বাদ" গল্পে। লেখিকা মৌ দাশগুপ্তের লেখা "কঞ্চি পথকুড়ুনি" গল্পের বিষয়টা পুরোনো হলেও গল্প তুলে ধরার ভাবটা নতুন। লেখক অংশু প্রতিম দের লেখা "অগোচরের সত্য" গল্পটি খুব আবেগময় শিক্ষণীয়। "পেহেলে দার্শানধারী, ফির গুনবিচারী", কথাটা যে এই উন্নত সমাজের কাছে আজও সত্য, তা প্রমাণিত লেখিকা জয়তী অধিকারীর লেখা "ক্যাকটাস" গল্পে। মিষ্টি প্রাক্তন প্রেমের পুনঃপ্রকাশ ঘটেছে লেখিকা রমলা মুখার্জির লেখা "বুকের মাঝে" গল্পে। লেখিকা মোনালিসা সাহা দের লেখা "বাঘ" গল্পটার নাম অন্য কিছু বোঝালেও, যথেষ্ট সার্থকতা আছে। লেখক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ের লেখা "কন্যাদায়" গল্পে আবারও প্রমাণিত হয় যে, একটা মেয়ে বাবার জন্য সবসময় দায় হয় না।
এই গল্পগুলো বাদেও আমার অসাধারণ লেগেছে লেখক পল্টু ভট্টাচার্যের লেখা "মহানবমী", লেখক দীপক আঢ্যর লেখা "মিড-ডে ন্যাপ", লেখক রাণা চ্যাটার্জির লেখা "বোন ফোঁটা", লেখক এস. কবীরের লেখা "হজযাত্রী", লেখক সুজান মিঠির লেখা "কৃষ্ণকলি তোরেই বলি", লেখিকা নন্দিতা মিশ্রর লেখা "নারীত্ব" এবং লেখিকা পায়েল খাঁড়ার লেখা "একটু গল্পের মতো" গল্পগুলো।
তাছাড়া আমার মতো কঠিন মানুষের চোখে দুটো গল্প একদম জল এনে দিয়েছে। একটা হলো লেখিকা ইন্দ্রাণী দত্তের লেখা "এক্ষুনি চলে যাব" গল্পটা। আরেকটা হলো লেখক ডঃ সুকান্ত কর্মকারের লেখা "পিন্ডদান" গল্পটা।
আমি সবগুলো গল্পই পড়েছি। উপরে উল্লেখিত গল্পগুলো বাদে অন্যগল্পগুলোও নিজেদের জায়গায় অসামান্য। কিন্তু কিছু কিছু গল্পের বিষয়বস্তু পরিষ্কার না। কয়েকবার পড়েও বোঝা যায় না যে লেখক বলতে কি চাইছেন।
এই পত্রিকাতে সবার মাঝে আমারও লেখা একটি গল্প স্থান পেয়েছে। গল্পটা আপনি পাবেন ১২ নম্বর পৃষ্ঠায়, "ভুল ধারণা"। অবশ্যই জানাবেন কিন্তু যে কেমন লাগলো।
অবশেষে একটাই কথা বলবো, এত কম দামে এরকম সম্ভার আজকাল পাওয়া যায় না। পত্রিকাটা কিনে পড়ুন। আমি গ্যারান্টি দিতে পারি যে, আপনি হতাশ হবেন না।
ধন্যবাদ..
সমাজের সুন্দর চিত্র ফুটে উঠেছে লেখিকা সহেলী রায়ের "মৃত্যু থেকে জন্ম" গল্পে। লেখক রাজকুমার ঘোষের "ট্যাক্সি ড্রাইভার" গল্পের শেষটা অসাধারণ, একেবারেই একঘেয়ে না। সমাজের এক কঠিন দিক তুলে ধরেছেন লেখক বাপ্পাদিত্য দাস "মা হওয়ার স্বাদ" গল্পে। লেখিকা মৌ দাশগুপ্তের লেখা "কঞ্চি পথকুড়ুনি" গল্পের বিষয়টা পুরোনো হলেও গল্প তুলে ধরার ভাবটা নতুন। লেখক অংশু প্রতিম দের লেখা "অগোচরের সত্য" গল্পটি খুব আবেগময় শিক্ষণীয়। "পেহেলে দার্শানধারী, ফির গুনবিচারী", কথাটা যে এই উন্নত সমাজের কাছে আজও সত্য, তা প্রমাণিত লেখিকা জয়তী অধিকারীর লেখা "ক্যাকটাস" গল্পে। মিষ্টি প্রাক্তন প্রেমের পুনঃপ্রকাশ ঘটেছে লেখিকা রমলা মুখার্জির লেখা "বুকের মাঝে" গল্পে। লেখিকা মোনালিসা সাহা দের লেখা "বাঘ" গল্পটার নাম অন্য কিছু বোঝালেও, যথেষ্ট সার্থকতা আছে। লেখক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ের লেখা "কন্যাদায়" গল্পে আবারও প্রমাণিত হয় যে, একটা মেয়ে বাবার জন্য সবসময় দায় হয় না।
এই গল্পগুলো বাদেও আমার অসাধারণ লেগেছে লেখক পল্টু ভট্টাচার্যের লেখা "মহানবমী", লেখক দীপক আঢ্যর লেখা "মিড-ডে ন্যাপ", লেখক রাণা চ্যাটার্জির লেখা "বোন ফোঁটা", লেখক এস. কবীরের লেখা "হজযাত্রী", লেখক সুজান মিঠির লেখা "কৃষ্ণকলি তোরেই বলি", লেখিকা নন্দিতা মিশ্রর লেখা "নারীত্ব" এবং লেখিকা পায়েল খাঁড়ার লেখা "একটু গল্পের মতো" গল্পগুলো।
তাছাড়া আমার মতো কঠিন মানুষের চোখে দুটো গল্প একদম জল এনে দিয়েছে। একটা হলো লেখিকা ইন্দ্রাণী দত্তের লেখা "এক্ষুনি চলে যাব" গল্পটা। আরেকটা হলো লেখক ডঃ সুকান্ত কর্মকারের লেখা "পিন্ডদান" গল্পটা।
আমি সবগুলো গল্পই পড়েছি। উপরে উল্লেখিত গল্পগুলো বাদে অন্যগল্পগুলোও নিজেদের জায়গায় অসামান্য। কিন্তু কিছু কিছু গল্পের বিষয়বস্তু পরিষ্কার না। কয়েকবার পড়েও বোঝা যায় না যে লেখক বলতে কি চাইছেন।
এই পত্রিকাতে সবার মাঝে আমারও লেখা একটি গল্প স্থান পেয়েছে। গল্পটা আপনি পাবেন ১২ নম্বর পৃষ্ঠায়, "ভুল ধারণা"। অবশ্যই জানাবেন কিন্তু যে কেমন লাগলো।
অবশেষে একটাই কথা বলবো, এত কম দামে এরকম সম্ভার আজকাল পাওয়া যায় না। পত্রিকাটা কিনে পড়ুন। আমি গ্যারান্টি দিতে পারি যে, আপনি হতাশ হবেন না।
ধন্যবাদ..
No comments:
Post a Comment