পদক্ষেপ পত্রিকা চুঁচুড়া নভেম্বর ২০১৯। শেষ করতে এতদিন লাগার কথা নয়। আসলে
এক আত্মীয় পড়তে নিয়ে আর ফেরত দিলো না। শুধু তাই নয়, সে সোজা মাদারিহাট চলে
গেলো। মহান ব্যক্তি। যাকগে, নির্মলেন্দু জানতে পেরে রাজকুমারের হাত দিয়ে
আরেক কপি পাঠিয়ে দিলো। এবারে শান্তি করে পড়লাম। সবচেয়ে আকর্ষণীয় লেগেছে
প্রবন্ধগুলো। রীতিমত গবেষণামূলক। ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেকটা পড়া থাকলেও আরও
জানতে পেরে ঋদ্ধ হলাম। আশিষ রঞ্জন, দিলীপকান্তি এবং অরুণিমা – তিনজনকেই
প্রচণ্ড অধ্যবসায় নিয়ে এগোতে হয়েছে বুঝতেই পারলাম। সুশান্ত করের অনুবাদ
মোক্ষম। নিবন্ধে কুনালকান্তি এবং রমলাদেবী দুর্দান্ত! এ বাদেও এই সংখ্যায়
বেশ কিছু কবিতা আছে, আছে গল্পও। অধিকাংশ সাহিত্যিকের লেখার সাথে
পূর্ব-পরিচিত আছি বলে পড়তে আরও মজা লাগলো। অধিকাংশ লেখকের মুন্দিয়ানা অবাক
করেছে আমাকে। ভাষা আন্দোলন এবং অসমীয়া মানুষজনদের ঘিরে অভিজিৎ দত্ত-এর
ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ পড়তে পড়তে চোখে জল চলে এলো। লেখাটির নামটা আরেকবার
পড়লাম – ‘সূর্য যখন অন্ধকারে’। কোন অন্ধকারে চলে যায় মানুষ, কে বলতে পারে!
শুধু তার সৃষ্টি থেকে যায়। সবশেষে অচিন্ত্য সুরালের সাক্ষাৎকার খুব ভালো
লেগেছে। এর জন্য একটা ধন্যবাদ পার্থবাবুর প্রাপ্য।
সব মিলিয়ে ১৯ মে’র ভাষা-অগ্নুৎপাত নিয়ে সমগ্র সংখ্যাটি প্রকাশ করে নির্মলেন্দু একটা কাজের কাজ করেছে। সংখ্যাটি রীতিমত সংগ্রহে রাখবার মত। আসলে প্রতিটি সবুজপত্রের একটা অভিমুখ থাকা নিতান্ত দরকার। শুধুমাত্র ছাপবো বলে ছাপছি – নয়, কেন ছাপছি – এই বোধটাও সম্পাদকের থাকা দরকার। নির্মলেন্দু’র আছে। এই সংখ্যার সাথে যুক্ত সকল মানুষ, যেমন রাজকুমার, অর্চক, বৈশাখী, সুব্রত প্রমুখদের আমার পরম শুভেচ্ছা। প্রচ্ছদ সমীরণের করা। খুব ভালো হয়েছে। পদক্ষেপ পত্রিকা চুঁচুড়া’র জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল আমার।
সব মিলিয়ে ১৯ মে’র ভাষা-অগ্নুৎপাত নিয়ে সমগ্র সংখ্যাটি প্রকাশ করে নির্মলেন্দু একটা কাজের কাজ করেছে। সংখ্যাটি রীতিমত সংগ্রহে রাখবার মত। আসলে প্রতিটি সবুজপত্রের একটা অভিমুখ থাকা নিতান্ত দরকার। শুধুমাত্র ছাপবো বলে ছাপছি – নয়, কেন ছাপছি – এই বোধটাও সম্পাদকের থাকা দরকার। নির্মলেন্দু’র আছে। এই সংখ্যার সাথে যুক্ত সকল মানুষ, যেমন রাজকুমার, অর্চক, বৈশাখী, সুব্রত প্রমুখদের আমার পরম শুভেচ্ছা। প্রচ্ছদ সমীরণের করা। খুব ভালো হয়েছে। পদক্ষেপ পত্রিকা চুঁচুড়া’র জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল আমার।
No comments:
Post a Comment