Sunday, March 1, 2020

আমাদের পদক্ষেপ পত্রিকার বইমেলা ২০২০ সংখ্যার পাঠ-প্রতিক্রিয়া - সঙ্কর্ষণ ঘোষ...


#পাঠ_প্রতিক্রিয়া
আমাদের পদক্ষেপ (প্রথম সংখ্যা)
সম্পাদনা- নির্মলেন্দু কুণ্ডু
প্রকাশনা- আমাদের পদক্ষেপ পরিবার, মূল্য- ৫০/-

গতবারের পুজোর কিছুদিন আগে বসিরহাটে একটি পত্রিকা প্রকাশের অনুষ্ঠানে সম্পাদকের আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলাম। কলকাতা শহর থেকে অতো দূরে আগে যাইনি কখনও। স্টেশন থেকে একটু ভেতরে একটি বিদ্যালয়ের মঞ্চে একত্রে প্রায় ৮-১০টি পত্রিকা প্রকাশিত হ'চ্ছিলো। আমার নিজের যেখানে লেখা বেরিয়েছিলো সেই পত্রিকা কর্তৃপক্ষ আমায় আগেই জানিয়েছিলো সৌজন্য সংখ্যা দিতে তাদের আদৌ অসুবিধা নেই, কিন্তু ২০/- দামের পত্রিকা বিনামূল্যে কিনে নিতে বিবেক বাধা দেওয়ায় আমি সেটি দাম দিয়েই কিনে নিই। তখন গ্রন্থ-আলোচক হিসাবে সামান্য পরিচয় তৈরী হওয়ায় বেশ কিছু সম্পাদক স্বেচ্ছায় তাঁদের পত্রিকাগুলি আমার হাতে তুলে দেন আর আমার প্রতিক্রিয়া পেতে অপেক্ষায় থাকলেন ব'লে জানান। সেই প্রার্থনা এখনও অবধি মঞ্জুর ক'রতে না পারায় আমি তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। ট্রেনে আসতে আসতে পত্রিকাগুলি প'ড়ছিলাম এবং সত্যি ব'লতে কী বেশ কিছু বিষয় রীতিমতো বিস্ময়ের উদ্রেক ক'রছিলো। মূলতঃ দ্রষ্টব্য ১। কলমগুলি সম্পূর্ণ অপরিচিত অথচ বীভৎস শক্তিশালী, ২। সম্পাদনা বিভীষণ রকম বলিষ্ঠ, ৩। সবকটিই মূলতঃ ক্রোড়পত্র গোছের, ৪। সবকটিরই বিনিময় মূল্য ৫০/-র আশেপাশে। আলোচক হিসাবে আমার কর্তব্য ছিলো আদর্শ পত্রিকার উদাহরণরূপে এগুলিকে সকলের সামনে নিয়ে আসা, পড়াশোনার ব্যস্ততা তার সুযোগ সেভাবে দেয়নি আমায়। তবে এই পত্রিকাগুলি আমায় একটি বিষয় নিঃসন্দেহে ভাবতে বাধ্য ক'রেছিলো, যে বাংলা সাহিত্যের হৃদস্পন্দনকে শুনতে চাইলে মাটির কাছে যেতে হবে আর মাটি যদি ছুঁতে চাও, শহরের বাইরে তাকাও। বসিরহাটের ঋণ চুঁচুড়ায় কতোখানি শোধ হওয়া সম্ভব তার উত্তর জানতেই 'আমাদের এহেন পদক্ষেপ' নেওয়া, মাটিকে ছোঁয়ার সুখানুভূতিটুকু ত্যাগ ক'রতে আমি কদাপি রাজি নই কিনা। তবে আসুন, শুরু করা যাক।
প্রকাশিত একটি মাত্র সাক্ষাৎকার সম্পর্কে ব'লি, এই অংশটিতে বেশ কিছু অভিযোগের অবকাশ থাকলেও সামগ্রিক বিচারে এটিই পত্রিকার সর্বোত্তম বিভাগ হিসাবে নিজেকে প্রতিভাত ক'রেছে। এটি ভালো লাগার অন্যতম কারণ হ'লো, ভদ্রলোকের বক্তৃতা আমি মঞ্চে দুয়েকবার শুনেছি এবং বক্তৃতা শুনে সাহিত্য সম্পর্কে জনৈক প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকের দৃষ্টিভঙ্গী তেমনভাবে বোঝা না গেলেও সম্পাদকের সাক্ষাতে তিনি নিজেকে অনবদ্য প্রকাশ ক'রেছেন। আবার ঠিক এইখানে পাঠকও পত্রিকার কাছে অভিযোগ ক'রতেই পারেন, ছোটো পত্রিকা ও সংগঠন সম্পর্কে আলোচনার জন্য একজন লেখককে যতোখানি পরিসর দেওয়া হ'য়েছে সাহিত্য সম্পর্কেও তাঁকে ততোখানি দেওয়া যেতোনা কি? এ ক্ষেত্রে উত্তরদাতা নন, স্বয়ং প্রশ্নকর্তার উচিত ছিলো আলোচনার অভিমুখ সঠিক রাখা। তবুও ছোটো পত্রিকা সম্পর্কে লেখক যে তাঁর মতটুকু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তাতেই পাঠকের চিন্তার যথেষ্ট অবকাশ র'য়েছে। বক্তব্যের বৈপরীত্যের পরিসর এখানে নয় আর হ্যাঁ জনৈক যেকোনো ক্ষেত্রে যতো অভিজ্ঞই হ'ননা কেন, ১৫টি পাতা... যার অন্ততঃ ৪টি ঢক্কানিনাদ (অসত্য আমার স্বভাববিরূদ্ধ) পত্রিকা-ব্যবস্থাপনার ব্যয়ভার ব্যতীত সম্মান বৃদ্ধি করেনা।
এইবারে শুরু হয় এই সংখ্যার যা মূল প্রতিপাদ্য, কবিতা (প্রথমাংশ)। আগেই ব'লে রাখি, গোটা বইটির বিশেষত্বই এই, যে এখানে 'অসাধারণ' কবিতা ব'লে কিছু নেই। যা আছে উচ্চ-মধ্যম ও নিম্ন-মধ্যম মানের কবিতা। এই অংশটিতে মূলতঃ এই উচ্চ-মধ্যম মানের কবিতাগুলি স্থান পেয়েছে এবং যেটি লক্ষ্যণীয় এবং সম্পাদনায় দৌর্বল্যের একটি প্রকটতম বিষয় তা হ'লো যাঁদের লেখা এখানে রাখা হ'য়েছে গণমাধ্যমের সাহিত্য পরিসরে এঁরা পাঠকের তো বটেই, পরস্পরেরও যথেষ্ট পরিচিত। কবিতার পত্রিকা যদি নতুন কলমের সাথেই পাঠকের পরিচয় করাতে না পারে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তো উঠবেই, উপরন্তু উপদেষ্টা মণ্ডলীর ৪জনের লেখা সর্বাগ্রে থাকা এবং তাঁদের পরিচিত বৃত্তের উপস্থিতি কিন্তু পত্রিকার চিরকালীন উদ্দেশ্যকে খর্ব ক'রবে। অনেকে প্রশ্ন তুলতেই পারেন, যে এখানে তো তাঁদের লেখা বেরিয়েছে 'কবি' হিসাবে, উপদেষ্টা তো নন... তাঁদের ব'লি পত্রিকা আয়তনে ছোটো হওয়ার কারণে আদর্শ পাঠকের প্রতিটি অক্ষর খুঁটিয়ে পড়ার মানসিকতা এমনিই বাড়বে এবং কোনো নতুন কলম যদি একবার এই জিনিস ধ'রে ফেলে সম্পাদকের উদ্দেশ্য সৎ হোক আর না হোক, তারা আগামীদিনে আর কোনো লেখাই দেবেনা। বলিষ্ঠ যে সে স্বজনপোষণের অভিযোগে বিজ্ঞপ্তি নস্যাৎ ক'রবে আর যে লেখা পাঠাতে ভয় পায় সে আগেই ধ'রে নেবে সৃষ্টি গৃহীত হবেনা। কবিতাগুলির বিষয়বস্তু কোনোটিরই খুব খারাপ না, তবে আগেও ব'লেছি ছন্দে কবিতা লেখা বা কেবল অন্ত্যঃমিল কিন্তু নিয়মিত অভ্যাসের দ্বারা আয়ত্ত একটি শৈলী, মিল আর গোঁজামিলের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বর্তমান। তাই যেমন তেমন ক'রে প্রকাশদোষে দুষ্ট একটি লেখা এবং একটি দেখনদারির নিষ্ফল প্রয়াস ব্যতীত বাকি লেখাগুলিকে মোটামুটি চলনসই বলাই যায়।
কবিতা সংক্রান্ত প্রবন্ধের অংশটি সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনার অবকাশ ব'লতে সেদিক থেকে একগাদা অভিযোগ ছাড়া আর কিছুই করার নেই, তাতে যে কেউ আমাকে যেমনই ভাবুননা কেন। প্রথম প্রবন্ধটিতে খানিক পাণ্ডিত্য জাহির ক'রে নাকি কবিতা সম্পর্কে চিরাচরিত ধারণাকে ভাঙতে চেষ্টা করা হ'য়েছে, যদিও আমি গোটা প্রবন্ধে 'সবাই ভুল লেখক ঠিক', কিছু বিদেশী দার্শনিকের অন্তিম পর্যায়, খানিক পুরস্কারের ফিরিস্তি আর বিষোদ্গার ব্যতীত কবিতা-সংক্রান্ত আর কিছুই পাইনি। এই লেখা সম্পাদক কেন ছেপেছেন, এহেন প্রশ্ন করা অত্যন্ত অসভ্যতা, শুধু ব'লবো লেখা নির্বাচন মানে কিন্তু চেনা লোকের লেখা জড়ো ক'রে তা ছাপিয়ে দেওয়া নয়। আদর্শ পত্রিকার একটি নির্দিষ্ট বার্তা থাকে, এই অবধি এসেও আমি কিন্তু তার চিহ্ন খুব বেশী পাইনি। কিন্তু প্রথম প্রবন্ধটিকে তাও একটু এগিয়ে রাখাই যায় লেখনশৈলীবশতঃ, কিন্তু এরপর অত্যন্ত হাস্যকর ও বিরক্তি-উদ্রেককারী যে লেখাটিকে প্রবন্ধ ব'লে চালাবার চেষ্টা করা হ'য়েছে, সেটি আর যা'ই হোক, প্রবন্ধ নয়... ওটিকে অপটু হাস্যরসের মোড়কে টুকে দেওয়া ব্যাকরণ বইয়ের পৃষ্ঠা বলা যেতে পারে। ভদ্রলোক লেখাটির উপসংহার পর্যন্ত টানতে পারেননি। ওটির মূলতঃ কোনো আলোচনা হয়ই না। এই অংশটি পাঠক হিসাবে আমাকে যারপরনাই হতাশ ক'রেছে বলাই বাহুল্য।
মিথ্যা ব'লবোনা, কবিতার দ্বিতীয়াংশে এসে পত্রিকার একটি স্পষ্ট অবয়ব পাওয়া যায়। প্রথমে এই অংশের সব কবিতা কিন্তু আমার আদৌ পছন্দ হয়নি। বারংবার পড়ার পর কিছু কবিতায় গভীরতা পেলেও সেগুলির প্রকাশে এতো জটিলতা, যে সমস্যার উদ্রেক ক'রছে। এই অংশে উচ্চ ও নিম্ন-মধ্যমমানের উপস্থিতির হার সমানুপাতিক, প্রথমাংশের মতো শুধুই উচ্চ-মধ্যমের রাজত্ব নয়। এই অংশটি এই কারণেই পত্রিকার পরিচয়, যে পরিচিত বৃত্ত প্রাধান্য পেলেও একটি বিষয় পরিষ্কার যে সম্পাদক প্রেম বা রাজনৈতিক অস্থিরতার অপটু প্রকাশকে দূরে স'রিয়ে রেখে মনস্তত্ত্বের গভীরতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং তখনই আমরা প্রথমাংশে ফিরে গিয়ে দেখি যে সেখানেও তিনি এই চ'লতি হাওয়ার বিপরীতে হাঁটার ইচ্ছা প্রকাশ ক'রেছেন আর লেখকরাও কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবেই তাতে সাড়া দিয়েছেন, সে তিনি সেভাবে লেখা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিন আর না দিন। কবিতার মূল উপাদান কিন্তু তার অন্তর্নিহিত বার্তাই, প্রকাশকে বরং ছাড় সামান্য হ'লেও দেওয়া যেতে পারে। সম্ভবতঃ মাঝখানের প্রবন্ধ অংশটিকেও দুটি কবিতাংশের যোগসূত্র হিসাবেই রাখা হ'য়েছিলো, যাতে পাঠক ক্লান্ত না হ'য়ে পড়েন। তৃপ্ত না হ'লেও এই অংশটি পাঠকের সুনজরে থাকবে ব'লে আশা করা যায়। তবে প্রথমটির মতোই এই অংশেও নতুন কলমের উপস্থিতি প্রায় নেই।
নির্দিষ্ট একটি কবিতার ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আলোচনার সাথে সাক্ষাৎ ঘটেনা বিশেষ, এখানে একে গুরুত্ব পেতে দেখে আনন্দিত হ'লাম। কবিতা ও আলোচনা উভয়কেই এখানে খুঁটিয়ে দেখার অবকাশ বর্তমান। ছন্দপতন তখনই ঘ'টলো, যখন দেখলাম প্রথম কবিতাটি এককথায় অসাধারণ, কিন্তু তার ব্যাখ্যাটি এতো জঘন্য যে বলার নয়। আমি আগেও ব'লেছি, এখনও ব'লছি পাঠককে বিষয়ের ব্যাখ্যা করা আর পাঠকের সামনে নিজের ঢাক পেটানো ২টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। অসংখ্য ইংলিশ শব্দের ব্যবহারে একটি দুর্বোধ্য অনুচ্ছেদ, যার সেভাবে কোনো অর্থই নেই... জানিনা, হয়তো একটি আত্মঘাতী জাতির পক্ষেই সম্ভব এভাবে তার মাতৃভাষাকে প্রতিনিয়তঃ অপমান করা ও পাঠককে হত্যার রাস্তা খুলে দেওয়া। দ্বিতীয় কবিতার সমালোচককে ব'লি, তিনি যেন ভুলে না যান তিনি জনৈক 'লিখিয়ের' বিশ্লেষণ ক'রছেন এবং তাঁর বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই একটি লেখা কবিতা ব'লে প্রতিপন্ন হবে। কিন্তু তিনি যদি আগেই "এই কবিতা... " দিয়ে ব্যাখ্যা আরম্ভ করেন তা কিন্তু একেবারেই কাম্য নয়। ব্যাখ্যা নেহাত খারাপ নয়, যেহেতু কবিতাটির বক্তব্য নেহাতই একমুখী এবং সরল। তৃতীয় কবিতা ও ব্যাখ্যা প্রথমটির অবস্থার হুবহু নকল... কবিতা অসাধারণ, ব্যাখ্যায় অকারণ অসহ্য দুর্বোধ্যতা। উপরন্তু ইনিও দ্বিতীয়জনের মতোই একটি লেখাকে কবিতা ঘোষণা ক'রেই তার ব্যবচ্ছেদ শুরু ক'রেছেন। কিন্তু বিন্দুমাত্র পক্ষপাতিত্ব না ক'রেই ব'লবো দ্বিতীয়জন তেমন পরীক্ষার সামনে আদৌ পড়েনইনি এবং সেজন্যই তাঁর ব্যাখ্যাটি সরল ও স্বাভাবিক। তাঁকে সাধুবাদ জানাই।
অণুকবিতার অংশটিতে মূলতঃ নিম্ন-মধ্যমমানের রচনাই স্থান পেয়েছে, যদিও মুন্সীয়ানা এতেই সর্বাধিক প্রয়োজন। দুয়েকটি বেশ ভালো লেখা থাকলেও বিজ্ঞপ্তির উত্তরে সম্পাদকের প্রচুর পরিমাণে লেখা পাওয়ার দাবি নিয়ে সন্দেহ জাগে। কারণ এই প্রথম একটি অংশে অপরিচিত কলমের সংখ্যাই বেশী এবং লেখাগুলিও তেমন ভালো নয়। তবে কবিতার এই বিভাগটিও যে সম্পাদক খেয়াল রেখেছেন, সে কারণে তাঁকে ধন্যবাদ।
কবিতার বই যখন বেরিয়েছে লিখিয়েকে কবি ব'লেই ডাকতে হবে বইকি। তবে প্রথমজন যাঁর বই আলোচনা ক'রেছেন তাঁর কবিতার সাথে তাল রেখে নিজের আলোচনাটি যথাসাধ্য মনোগ্রাহী করার চেষ্টা করেছেন এবং সে চেষ্টা মোটামুটি সফলও বটে। তবে খুব ভালো লাগলো প্রথম আলোচকের কবিতার বই নিয়ে দ্বিতীয়জনের আলোচনা। কবিতা ভালো না হ'লেও তৎসংক্রান্ত আলোচনার ভাষার এতো কোমলতা আমি দেখিনি আগে। তৃতীয় আলোচনায় একদম সঠিক কথা, যে যাঁর বই আলোচনা করা হ'য়েছে তাতে অন্তর্নিহিত বক্তব্যগুলি পরোক্ষভাবে অপর এক প্রতিষ্ঠিত কবির নকল। তবে আমি এখনও ব'লবো বই বেরোনো মানেই কিন্তু জনৈকের পরিচয় কবি নয়, সে পথ এখনও দূর, অনেক দূর।
সবশেষে ব'লি, প্রকাশিত একটি মাত্র সাক্ষাৎকার, কিছু সুপাঠ্য কবিতা ও পাঠ-প্রতিক্রিয়ার অংশটির কারণে এই সংখ্যাটি সংগ্রহে রাখলেও রাখতে পারেন। মুদ্রণের ক্ষেত্রে ওপর-নীচে দুটি বাক্যের মধ্যে ফাঁক একটু বাড়াতে হ'তো। সম্পাদকের প্রতি কয়েকটি অযাচিত পরামর্শ র'ইলো, যে বইমেলায় যে পত্রিকা প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হ'চ্ছে তার প্রথম সংখ্যা গল্প ব্যতীত কেবল কবিতা-বিষয়ক হ'লে কিন্তু সাধারণ পাঠককে আকর্ষণ করা ভীষণই কঠিন। এছাড়াও নতুন কলমকে জায়গা দিতে এগিয়ে আসতে হবে সেই বসিরহাটের পত্রিকাগুলির মতো। যদি ভালো লেখা না আসে সময়সীমা বাড়ানো হোক। সম্পাদকীয়ও আরেকটু মনোগ্রাহী হ'তেই পারতো, কিন্তু সেটুকু এমন কিছু বড়ো ক'রে না দেখলেই হয়। আমি আমার নিজস্ব গৃহীত নিয়মানুসারে কোনো লেখা বা লেখকের নামোল্লেখ হ'তে বিরত থাকলাম, কারণ চাইবো আমার কথা থেকে যতোটুকু ধারণা পাঠক পেলেন বাকিটুকু পত্রিকাটি কিনে ক'রুন।
ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment