Saturday, April 4, 2020

আর্যতীর্থ


কবিতা - 

ছাই

চারদিকে আগুন দেখে , অসহায় তাকিয়ে থাকি,
এ বিভেদ থামবে যখন, কিছু কি রইবে বাকি?
আমরা তাড়াই  সবুজ, ফুলেদের করছি দূরে
ভগবান বন্দী হলেন,  শ্লোগানের বিশ্রী সুরে।
আমাদের বাস্তু ফাটা, ভাঁড়ারে শূন্য পুঁজি,
তবু রোদচশমা ভেবে , দুচোখে ধর্ম গুঁজি।
ধর্ম খাচ্ছে মানুষ, কিছু আর রাখবে নাকি,
আগামীর ভূমি জুড়ে, তবে কি ধূসর খাকই?

এ কেমন দেশ হয়েছে, চলে যে অতীত সেঁকে,
কিছু কি শেখেই নি কেউ, বু্দ্ধ, অতীশ থেকে?
ইতিহাস হচ্ছে বদল, দখলের ইচ্ছেমাফিক,
কোনটা তথ্য আসল, বোঝা আর যায়না তা ঠিক
রাজা আর বাদশা এখন, দুইফাঁক আমরা ওরায়,
এতরফ কবর খোঁড়ে, ওতরফ লাঠি ঘোরায়।
বুঝি না অন্ধকারে , কি আলোয় ভরসা রাখি,
লাইটহাউস ভাবছি যাকে, আসলে সত্যি তা কি?

এ আগুন পোড়ায় আমায়, তোমাকেও ছাড়ে না যে,
কেন পুড়ি সওয়াল হলেই, যুদ্ধের ডংকা বাজে।
কারা সব রক্তচোখে, নিক্তিতে ভক্তি মাপে,
বলে দেশ জবরদখল, এইসব খুচরো পাপে।
সীমানায় চলছে গুলি, পড়শি খারাপ ভারী,
আমাদের দোষ কিছু নেই, এ গরম আঁচ যে তারই।
সুতরাং পোড়ার মুখে, সমাধান সূত্র হাঁকি
এদেশের যা কিছু দোষ, দায়ী ওই বাংলা পাক-ই।

ও আমার সোনার স্বদেশ, আর কত সইবে তুমি,
আশরীর পোড়ার দাগে, কালো হলো জন্মভূমি।
আলো নেই একটু কোথাও, যেদিকেই কেন তাকাই,
চোখ খুলে রাখতে গেলে, উড়ে আসে লাশপোড়া ছাই।
ওই লাশ আমার ভাইয়ের, আমারই ভাইয়ের হাতে,
কারা যেন সেঁকছে রুটি, দহনের এই শিখাতে।
এত খাক ফেলবে ঢেকে, তেরঙা পতাকা কি,
আমরা রোজই আরো, দুহাতে ভস্ম মাখি।

ও স্বদেশ , ছাই সরিয়ে, হওনা ফিনিক্স পাখি,
ও স্বদেশ সঙ্গে আছি, হওনা ফিনিক্স পাখি...

1 comment: