Monday, January 14, 2019

রুদ্র মানিক



কবিতা-
অলৌকিক প্রেম

ধরো,কর্কটক্রান্তির এক নিদারুণ পর্যায়ে,
আমার জীবন-সায়াহ্নের শেষবেলায়-
যখন আমার প্রাণরস প্রায় শুন্যের কাছাকাছি!
রুপকথার মত কিংবা নিয়তির ছলে;
তুমি আগুনের মত সত্য কে চেনার সামর্থ্য  পেলে।
একজীবনে তুমি পবিত্র নিখাদ-
আমার একপাক্ষিক প্লেটোনিক ভালবাসা চিনলে!
তখন আমি মৃত্যুপথযাত্রী,বেদনায় জর্জরিত অস্ফুটে-
নিতান্তই ছটফটানো এক শান্তিপ্রার্থী ছেলে!
 
ধরো,আমার লেখা আবর্জনা সম্ভার খুলে পড়ছো,
তোমার সারা শরীর ভঙ্গুর সাঁকোর মত কাঁপছে-দুলছে।
যেন অকাস্মৎ তড়িৎশিখার উদগিরণ হলো;
অসময়ে বা-পাশ অ্যারিথমিয়ায় রুপ নিলো!
তোমার বুক ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে-
নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
যেন দম বন্ধ হবার উপক্রম;
অস্তিত্বজুড়ে যেন শতবৎসরের মহাভ্রম!
তোমার অশ্রুজলে পবিত্রতা লাভ করলো আমার অনাসৃষ্টি-
সদ্যজাত নিষ্পাপ প্রেমিকার ডাকে-
ঈশানকোণে মেঘ জমেছে।
যেন অনন্তকালের অদ্ভুত একাকীত্ব তোমায় ঘিরে রেখেছে!

 ধরো,আমার যাবার সময় চলে এসেছে!
তুমি উন্মত্তভাবে পৃথিবীপতিকে উদাত্ত করে-
তোমার আজন্ম প্রেমিকের শিয়রে বসলে!
তুমি জানো-
আমি চলে যাচ্ছি অনন্ত নক্ষত্রের দেশে;
হিসেব-নিকেষ ভুলে তোমার স্পর্শ দিলে শেষে।
হয়তো নিতান্ত ই মোহ বা অমর দৃষ্টান্ত কিংবা ভালবাসার বিশ্বাসে!

ধরো,অলৌকিকভাবে আকস্মিক প্রাণবায়ু মিলল-
বিষ্ণুদূতের ফলে!
বিপুলা ধরায় তখনো আমার অনেক দায়িত্ব বাকি-
কার্যসিদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত আমার-তোমার ছুটি নেই!
তারপর?
তারপর,অনিন্দ্য মনোহরা বসন্ত এসেছে পৃথিবীর বুকে;
ধরো,তুমি-আমি বাচঁছি পরস্পরের জন্য-
অনন্তকালের পথযাত্রী চলছি সুখে-দুঃখে!

No comments:

Post a Comment