কবিতা -
পান্তাবুড়ি
সুজান মিঠি
হাঁড়ি ভাতে কাঁচা লঙ্কা তেঁতুল বাটা সাথে,
ছাতু মাখাও থাকে খানিক, পান্তাবুড়ির পাতে।
রেঁধে রাখে নিশুত রাতে দিনের বেলায় খায়,
পান্তা খেয়ে বেশটি করে রোদটা মাখে গায়।
চেটে পুটে আরাম করে দাওয়ায় ঘুমোয় বুড়ি,
একটা চোরের শখ হয়েছে করবে তাকে চুরি।
বেচবে বুড়ির চোখ গুলোকে চামড়াটাকেও সাথে,
রাঁধবে কষে মাংস বুড়ির জমবে মজা রাতে।
ভোঁসভোঁসিয়ে দুপুরবেলা ঘুমোয় পান্তা বুড়ি,
চুপিচুপি চোরটা এলো করবে এবার চুরি।
সুখে দুখে আছে তার শুধুই পান্তা হাঁড়ি,
থাকেনা তো কখনো সে বন্ধুটাকে ছাড়ি।
পান্তাবুড়ির পান্তা হাঁড়ি মাথার গোড়ায় থাকে,
ঝাল লংকাও তাতে খানিক মেখে বুড়ি রাখে।
চোরকে দেখে বুড়ির হাঁড়ি গর্জে রেগে ওঠে,
লঙ্কা গুলোও চিড়বিড়িয়ে ঝালের ঝাঁঝে ফোটে।
চোরের গায়ে লঙ্কা লাগে; লাফিয়ে সে যে ওঠে,
বাপরে মারে গেলুম মরে - কথার তুবড়ি ছোটে।
জ্বলতে জ্বলতে ছুটলো চোর ভুলে গেল চুরি,
পান্তা বাঁচায় দিনে রাতে বাঁচে পান্তা বুড়ি।
----------------------------------------------
বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ
----------------------------------------------
বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ
ভালো লেখা ৷ যদিও পান্তাবুড়ির বিখ্যাত গল্পের থেকে চরিত্রটি ধার নেওয়া
ReplyDelete