কবিতা-
বেঁচে থাকার রসদ
জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে ঘরদোর
উষ্ণতায় ডুবে যাচ্ছে শরীর
পলাশের নৌকা নিয়ে চলেছে লাল মাটির গন্ধে
রাস্তার ধারে, অন্ধ গলিতে খোলা মাঠে
এক নিটোল বৃত্তে প্রকাশ্যে ঘুরছে
বেশ কিছু প্রশ্ন
রোদ ঝলমলে দিনগুলো রাতের আগুনে পুড়ছে
আগুনকে আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না বলেই
জোছনার সাথে সব যোগ বিয়োগ করে পড়ে
থাকছে ছাই
কাঁকর মাটির আঁচলে, পিচের রাস্তায় গাছের শিরা তন্তু কেটে অঝোরে ঝরছে রক্ত
ঘর- গেরস্থালির জীবন সংগ্রামে
কতকাল আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাই নি
সেদিন বিভ্রান্ত চোখে দেখি সব ঘরের জানালা দরজাগুলো বসন্তের আভাসে সবুজ
গাছপাতার আড়াল থেকে হরিণেরা দল বেঁধে দেখছে কান্ডখানা
গীতবিতানের স্বরলিপির সুরগুলো বেসুরো ঠেকছে কানে
এসব কিছু ছাপিয়ে জীবনের স্বতঃস্ফূর্ত ঘামঝরা দেখি
শিরিষ কাগজে ঘষা জীবনের ব্যালকনিতে
দাঁড়িয়ে
মরা নদীর ছপছপে জলে
আকুল বসন্তে
আমি খুঁজে চলেছি বেঁচে থাকার রসদ।
No comments:
Post a Comment