Saturday, December 1, 2018

'রহস্য' - সূচীপত্র




তৃতীয় সংখ্যা, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

সভাপতিত্বে - ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদনায়, ব্লগ রূপায়ণ ও পরিকল্পনায় - রাজকুমার ঘোষ
সহকারী সম্পাদনায় - নির্মলেন্দু কুণ্ডু
সাথী যারা - পিয়ালী ঘোষ, সুপর্না, অভিজিত, ঋষভ
প্রচ্ছদে - রাজকুমার ঘোষ, অভিজিত সাউ

-:সূচীপত্র:-
সম্পাদকীয় কলমে – নির্মলেন্দু কুণ্ডু

রহস্যের জ্যান্ত খনি -
শাহানাজ শাহীন - "জাতীয় জাদুঘর দক্ষিন কোরিয়া"

কবিতা ও ছড়া –
আরিয়ান প্রিয়স(পাল) - আন্তর্জাতিক
অভিজিৎ দাসকর্মকার - বিশ্বাস
নদেরচাঁদ হাজরা - জীবন রহস্য
তরুনার্ক লাহা - ডিমনোলোজি
গুরুদাস ভট্টাচার্য - কে ডাকে
কল্লোল মণ্ডল - আঁচল
কৌশিক দে মধ্যরাত
সন্দীপ ভট্টাচার্য – দায়ী
রনিতা মল্লিক(Swiss Rani) - আমার চোখের তৃষ্ণা
সুনন্দ মন্ডল - স্বর্ণালী পট
কবিতা ভট্টাচার্য - ফোনের প্রতীক্ষা
জগদীশ মন্ডল - কানের দুলের খোঁজ  
সুকান্ত কর্মকার - অশরীরী প্রেম

দুই মলাটে রহস্য
নির্মলেন্দু কুণ্ডু মগজাস্ত্র

বড়গল্প এবং অণুগল্প –
অভিজিৎ দত্ত - ভয়ার্ত যামিনী
আর্যতীর্থ - বাচ্চু
পবিত্র চক্রবর্তী - মুখোশ রহস্য
ডঃ রমলা মুখার্জী(ব্যানার্জী)- পীঠস্থানে বীর বাহিনী
দীপক আঢ্য - নকলনবিস
সুদীপ ঘোষাল - অজানা আশঙ্কা
রাজিত বন্দোপাধ্যায় - জীবন মৃত্যু
শুভাশিস দাশ - হীরের মুখোশ
পায়েল খাঁড়া – মণিহার
মৌলি বণিক- অনুসন্ধান
স্বরূপা রায় বিশ্বাসঘাতকতা
রানা চ্যাটার্জী – নিখোঁজ
রাজকুমার ঘোষ – বাইপাস রহস্য

স্মৃতিচারণা -
নন্দিতা মিশ্র - হিসেব মেলেনি

ভৌতিক রহস্য গল্প -
পিনাকী বসু – ভাইফোঁটা
অভিষেক মিত্র – গ্রান্টেড

প্রবন্ধ -
গৌতম চট্টোপাধ্যায় - WORLD’S UNBELIEVABLE FATCS

সম্পাদকীয় কলমে – নির্মলেন্দু কুণ্ডু


সম্পাদকীয়

রহস্যশব্দটার মধ্যেই একটা আলো-আঁধারি আছে ৷ কথায় আছে,"কাল কিসনে দেখা" ! এই না-দেখার কারণেই অনেক কিছুই আমাদের চোখে রহস্যাবৃত ৷ সৃষ্টির সেই আদিম যুগ থেকেই মানুষ নানা রহস্যের পর্দা উন্মোচন করে চলেছে ৷ ভৌগোলিক আবিষ্কার থেকে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, মায় সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার আবিষ্কারও এর মধ্যে পড়ে৷ ধরুন না, মধুকবি অমিত্রাক্ষর ছন্দ আবিষ্কারের আগে কেউ তো তা জানতেন না ! অর্থাৎ উনিও এক অজানা ছন্দ নিয়ে গবেষণা করলেন, রহস্য উন্মোচন করলেন ৷ ছোটবেলা থেকেই রহস্য গল্প আমাদের সকলের খুব প্রিয় ৷ তার পাশাপাশিই প্রিয় সেই রহস্য উদ্ধারকারী চরিত্রগুলো , যেমন- ব্যোমকেশ, কিরীটি, ফেলুদা, গোগোল, পান্ডব গোয়েন্দা, মিতিনমাসি এমন কত কি ! এখনও কিন্তু সেই ধারা বিদ্যমান ৷ আর আমাদের জীবন তো সবচেয়ে বড় রহস্যের খনি ৷ তাই তো 'আমাদের লেখা' পত্রিকার বর্তমান রহস্যনির্ভর সংখ্যায় উঠে এসেছে রহস্যের নানা রূপের নানা সাহিত্যরূপ ৷ এর মধ্যে যেমন পাবেন চিরাচরিত রহস্যের ঠাস বুনোট, তেমনি কিছুক্ষেত্রে জীবনের রহস্যের হাতছানি ৷ তার সাথেই রয়েছে দুটি ভিন্নধর্মী লেখা ৷ সবমিলিয়ে জমজমাট এবারের 'আমাদের লেখা' ব্লগ ৷

তবে আর কি, শীতের কুয়াশায় মোড়া রহস্যঘেরা পরিবেশে পড়া শুরু হোক 'আমাদের লেখা' ব্লগ ডিসেম্বর ২০১৮....
                                                                - নির্মলেন্দু কুণ্ডু

শাহানাজ শাহীন



রহস্যের জ্যান্ত খনি -


"জাতীয় জাদুঘর দক্ষিন কোরিয়া"
শাহানাজ শাহীন, দক্ষিন কোরিয়া

রবিবার মানেই ফুরফুরে মন হ্নদয় জুড়ে বইতে থাকে পিগলা হাওয়া মন থাকে নিয়ন্রণের বাইরে সময় নিত্যদিনের বসবাসের জায়গাটিকে মনে হয়, চারদেয়ালে আবদ্ধ কোন কয়েদখানা মনে হয় কত যু ধরে দেয়ালের ভেতরে বন্দী নির্মল হাওয়ায় প্রকৃৃৃৃতির কাছে  যেতে মন ব্যাকুল হয়ে থাকে মনে হয় বাইরে বের হতে না পারলে দম বন্ধ হয়ে আসবে ভিতরে হাঁসপাস শুরু হয়ে যায় কাজেই রবিবার বাড়িতে থেকে মৃত্যু ঝুঁকি না নেওয়াই অতি ভালো আমি কমপিউটার নিয়ে বসলাম গুগুল ম্যাপে "প্লেস নিয়ার বাই " সার্চ দিলাম ৷ গুগুলের এই এক বিষেশ সুবিধা চাইলেই সাহায্য পাওয়া য়ায় কথাশুনা জ্বীনের মত গুগুল জ্বীনকে ধন্যবাদ কাছাকাছি চারপাঁচটি নাম চলে আসলো ভালো করে পোষ্টমর্টেম করলাম মানে খুঁটিয়ে দেখলাম বিস্তারিত পেয়ে গেলাম পছন্দমত একটি জায়গা  
"জাতীয় জাদুঘর কোরিয়া " রেনেরও পছন্দ হলো রেন আমার নিত্যদিনের পথ চলার সংঙ্গী পছন্দ হবার বিশেষ কারণ ফ্রীতে দেখা ঘুরা এখানে এরকম সুবিধা প্রায়ই পাওয়া যায় আমি দ্রুত গোছল সেরে তৈরি হয়ে নিলাম  
আমাদের বাসা থেকে মেট্রো, বাস বা টেক্সি যে কোনভাবে যাওয়ার ব্যাবস্থা আছে আমার বেস্ট পছন্দ হলো মেট্রো লাইন , নামতে হবে ISU ষ্টেশন গেট/এক্সিট -8 সোজা জাদুঘর আমরা মেট্রো থেকে বাইরে বের হয়ে আসলাম আকাশ মেঘলা গুরি গুরি বৃৃৃষ্টি পড়ছিলো ছাতা আছে সাথে ইচ্ছে করে খুললাম না দেহ মনকে প্রকৃৃৃতিতে মেশার সুযোগ দেই৷ সামনে বিশাল জায়গা নানা জাতের গাছ ৷ফুলে ফলে ভরপুর আমি কিছু ছবি তুললাম  ৷গাছগুলো কাঠের বেঞ্চে দিয়ে মুড়ানো যে কেউ এখানে বসে কাটিয়ে দিতে পারে ঘন্টার পর ঘন্টা বিশেষ করে তরুন তরুনীদের জন্য একান্তে সময় কাটানোর জন্য চমৎকার জায়গা সকল বয়স পেশার মানুষের কাছেই জনপ্রিয় ৷ যারা আমার মত ভ্রমণ পিপাসু তারা ঘুরে আসতে পারেন ফ্রীতে পরিবার নিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিতে পারেন এখানে রয়েছে সাস্থ্যসম্মত বিশ্রামাগার , কফিশপ , স্নেক্স আর বিশাল খোলা চত্তর আপনি স্বল্প খরচে সেরে নিতে পারেন দুপুরের খাবার সকাল সকাল চলে গেলে পুরু জাদুঘরটি ঘুরে দেখতে পারবেন তিনটি ভাগে বিভক্ত এই জাদুঘরে স্থান পেয়েছে এশিয়ার বৃৃৃৃহৎ দেশ গুলোর দশহাজার বছরের ইতিহাসের
জাদুঘরের সামনে বিশাল চত্তরে পরিবার , বন্ধু নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারেন পারেন পুরু দিনটি শিশুদের জন্য রয়েছে বিশেষ বিনোদনের ব্যাবস্থা শিশু বিশেষ প্রর্দশনীগার আমরা অবশ্য সময় স্বল্পতার কারনে পুরু জাদুঘরটি ঘুরে দেখতে পারিনি  




 পরের বার দেখবো দর্শনার্থীদের সুবিধায় নীচে জাদুঘর খোলার সময় সূচি দেয়া হলোঃ-

সময় সূচী 
সোমবার , মঙ্গলবার                
বৃৃৃষ্পতিবার শুক্রবার 
সকাল ১০.০০ সন্ধা ৬টা পর্যন্ত 
বুধবার শনিবার 
সকাল ১০ টা থেকে দুপুর .০০টা পর্যন্ত 
রবিবার এবং পাবলিক ছুটির দিন 
১০.০০ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে  
সম্সূর্ণ বিনামুল্যে প্রবেশ দেশী বিদেশী সকলের জন্য