কবিতা -
আমার
চোখের তৃষ্ণা
ওই
বাড়ীটায় কেউ থাকে না,
থাকে
শুধু ওই বাড়ীটা,
একা
মনে হয়।
তাইতো
ও গুটিকতক লতাপাতাকে- নিজের সাথে লয়।
হঠাৎ
করেই আমার চোখে পড়ে গেছে-অন্য একটি মুখে।
তার
পর থেকেই আর চোখ সরাতে পারিনা,
তার
দিক থেকে।
দু-চার
দিন যাওয়ার পরে,
মনে
হয় অনুভব করতে পারি এক নারীকে।
কে!সে
ওই নারী.....?
হঠাৎ
করেই এক নিবিড় চমক-
দেখলাম
আমি নিজে,
রহস্যময়ী
নারী সে যে,
গেলাম
ওর ব্যাকুল চাউনির বৃষ্টিতে ভিজে।
কালো
বস্ত্র পড়ে সে,
জানালার
দিকে পা ঝুলিয়ে বসে-
এক
দৃষ্টে চেয়ে আছে,
আমার
দিকে তাকিয়ে সে।
আমার
চোখের কালো তারাটা,
ওর
চোখের মধ্যে যেতেই -
আমার
সমস্ত চৈত্র দাহন জুরিয়ে যে যাচ্ছে।
ওই
রমনীর মধ্যে-
প্রেরনা
জাগানো প্রেম আছে,মায়া আছে।
তাইতো
ও আমায় সঙ্গে করে-
নিয়ে
যাচ্ছে ওর পাছে পাছে।
খানিক্ষন
যাওয়ার পড়েই-
ও
যেন,কোথায় মিলিয়ে গেল।
কালো
কাপড়ের পর্দায় বাঁধা,
একটি
চিঠি ফেলে গেল।
চিঠিটা
খুলে দেখলাম আমি,
তাতে
লেখা আছে-
আমি
ছিলাম তোর চোখের তৃষ্ণা,
তোর
চোখের ভ্রম-
তাইতো
আমি গুটি গুটি পায়ে,
করলাম
আত্মসমর্পন।
আমি
নয় কোনো ষোড়শী,
নয়
কোনো রূপসী নারী..
আমি
এক বৃষ্টি ভেজা,
অতৃপ্ত
অশরীরি......।
বেশ
ReplyDelete