বড়গল্প-
হীরের মুখোশ
টর্চের মৃদু আলোতে ঠাওর হচ্ছিল না রাম সিংয়ের। কিছু আগেই একটি ঝড় এই পাহাড়ি জনপদ কে তছনছ করে দিয়ে গেলো। পথ বাতি নেই। হোটেল গুলোর আলো বাইরে আসছে না।ম্যালের গা ঘেঁষেই এই হোটেল। মনে হয় বৃটিশ পিরিয়ডের তৈরি । তবে
প্যাসেজ আছে বেশ ।
অলোক
বাবুকে ঘরে রেখে একাই বেরিয়ে এসেছে রাম সিং ।
কিছু
দূর
এগিয়ে যেতেই দুজন লম্বা গোছের লোক কী যেন ইশারা করলো । রাম
সিং
হাতের টর্চ টি নিভিয়ে দিলো ।
এবার
তিনজন মিলে এগিয়ে চললো টিলার কাছে প্যারাডাইস লজে । রুম
নং
২৯ । সেখানে অলোক বাবু অর্থাত্ অলোক সেন ,দুঁদে গোয়েন্দা বিশ্রাম নিচ্ছেন । আজ
সকালেই শিলিগুড়ি থেকে এখানে এসেছেন । এই
ম্যালেই সপ্তাহ
খানেক আগে একজন ব্যবসায়ীর রহস্য জনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে । শহরের
বড়
ব্যবসায়ী । পরিবারের পক্ষ থেকে এই রহস্য সন্ধানে তাঁকে পাঠানো হয়েছে ।
রাম
সিং
তাঁর দীর্ঘ দিনের পুরনো ড্রাইভার কাম বডি গার্ড !অত্যন্ত বিশ্বাসী । চেহারাও
জাঁদরেল ।
এই
পাহাড়ি জনপদে এর আগেও বহুবার এসেছে সাহেবের সাথে । তাই
রাম
সিংয়ের পরিচিতি আছে হোটেল গুলোতে ।
দরজায়
কলিং বেল টিপতেই অলোক সেন দরজা খুলে দিলো । ঝড়ে
কারেন্ট যাবার পর আর আসেনি । কখন
আসবে সেটাও কেউ বলতে পারে না । পাহাড়ে
এরকমটি হয় । আর
যদি
ধ্বস নামে তো কথাই নেই ।
হোটেলের
রুমে একটি ইমার্জেন্সি লাইট জ্বলছে কিন্তু ততটা জোরাল আলো নেই । তবু
যেটুকু আছে তা দিয়ে মানুষের মুখগুলো স্পষ্ট দেখতে পেলো অলোক বাবু ।
ঘরের
দরজা থেকেই জোড় হাতে নমস্কার করলো দুই আগুন্তক । হাতের
ইশারায় দুজনকে বসতে বললেন তিনি ।
রাম
সিং
পরিচয় করিয়ে দিলো দুজনকে ।
একজন
ভীম
লোচন আর একজন জীবন লামা । জীবন
লামাকে দেখে পাহাড়ি মানুষ মনে হবে না । দুজনেই
এই
পাহাড়ি অঞ্চলের যাবতীয় ক্রাইমের খবর রাখে । এটা
ওদের পেশা তবে নিজেরা কোনদিন খুন খারাপি করে নি । ওদের
নামে কোন খারাপ রেকর্ড নেই পুলিশের খাতায় ।
মি
:সেন
বললেন -আমাকে শিলিগুড়ির ওই ব্যবসায়ী খুনের একটা কিনারা করতে হবে । তোমরা
আমাকে কী ভাবে সাহায্য করবে ?
জীবন
লামা বললো আগে টাকার কথা হোক স্যার তারপর .....
অলোক
সেন
একটু বিস্মিত কণ্ঠে বললেন -মানে ?
স্যার
মানেটা অত্যন্ত সহজ । মানে
এই
কাজের জন্য কন্ট্রাক্ট ! দ্যাট মিন চুক্তি !
লামার
কথা
শুনে মি :সেন বললেন -বুঝালাম !কিন্তু তোমার টাইটেল তো লামা তবে এতো ভালো বাংলা বলো কী করে ?আর তোমার কথায় তো কোন অবাঙ্গালীর টান নেই !
সে
অনেক কথা স্যার ।
এর
মাঝে হোটেলের বয় এসে তিন কাপ
কফি
দিয়ে গেছে ।
কফির
কাপে চুমুক দিতে দিতে সেন একটি মস্ত গোছের চুরুট ধরিয়ে নিলো । তারপর
সেই
চুরুটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললো -তোমাদের ডিমান্ড ?
বেশি
না
স্যার মাত্র -পঁচিশ হাজার । এখন
তো
এসব
প্রায় ছেড়েই দিয়েছি । রাম
সিং
ভাই
বললেন তাই একটু চেষ্টা করবো সহযোগিতা করার । তবে
আমরা এ্যাডভান্স নিই না !তথ্য দেবো তারপর ।
এই
বলে
লামা কফির কাপে চুমুক দিলো ।
বেশ
!তা
কদিন লাগবে ? মি :সেন বললেন । স্যার
,আমরা কাল থেকেই কাজে নামবো দেখি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চেষ্টা করবো ।
এই
বলে
নমস্কার জানিয়ে দুজনে চলে গেলো ।
রাম
সিং
সব
শুনছিল । এবার সাহেবের পাশে এসে বসল ।
অলোক
সেন
চুরুটের শেষ টান দিয়ে উর্ধে পাকিয়ে পাকিয়ে ধোঁয়া ছেড়ে রাম সিং কে বললেন কি রে তুই কি আগেই বলেছিলি ?
হ্যাঁ
!ওরা
হোটেলের দিকেই আসছিল ।
তবে
আলো
না
থাকায় সুবিধা হলো । দিনে
ওদের দেখা পাওয়া যাবে না ।
রাতের
খাবার দিয়ে যেতে
বলবো
?রাম
সিং
বললো ।
মোবাইলটা
হাতে নিয়ে মি :সেন দেখলেন রাত সাড়ে নটা !ঠিক আছে বলে দে । ঠিক
সময়ে বয় এসে খাবার দিয়ে গেলো । রাতের
খাবার খেয়ে মি :সেন বিছানায় গা এলিয়ে দিলেন । তার
উপর
কারেন্ট নেই কোন পেপার ওয়ার্ক করা যাবে না । বাড়িতে
একটা ফোন করে শুয়েই পড়লেন । রাম সিং যাবার আগে বলে গেছে সাব রাতে কেউ ডাকলে দরজা খুলবেন না । আমাকে
ফোন
করবেন ।
-----------------------------------------------------
একটা
সংশয় ছিলই মি :সেনের মনের মধ্যে । না
তবে
রাতে কেউ আসেনি । দু
একবার দরজায় কে যেন টোকা মেরেছিল । ভোর
ভোর
থাকতেই উঠে পড়েছেন মি :সেন । যে
হোটেলে ব্যাবসায়ী খুন হয়েছেন আজ সেখানে যাবেন । প্রাতকৃত্য
সেরে রেডি হয়ে নিজেই বেরিয়ে পড়লেন মর্নিং ওয়াকে । চারিদিকে
গত
রাতের ঝড়ের চিন্হ বোঝা যাচ্ছে । তবে
এখনও তেমন ভাবে আলো ফোটেনি কুয়াশার চাদরে মুড়ে আছে এই শৈল শহর ।
কিছুদূর
যেতেই তিনি লক্ষ্য করলেন কে যেন তাকে ফলো করছেন । লোকটির
আদ্যপান্ত ঢাকা টুপি ওয়ালা জ্যাকেট মুখে মাক্স । ঝানু
গোয়েন্দা বুঝতে অসুবিধা হলোনা । না
!এখানে একা বেরুনো
ঠিক
হবেনা । আবার ফিরে গেলেন নিজের হোটেলে ।
হোটেল
বয়কে বললেন চা দিতে ।
এবার
তাঁর এ্যাটাচি থেকে মৃত ব্যবসায়ী
বিকাশ দত্তর ফাইলটি বের করলেন । নিজের
মতো
করে
তৈরি করেছেন ছক । আজ
পর্যন্ত কুড়িটি মার্ডার কেসের হদিস করেছেন তিনি । সরকারি
চাকরি নেননি । অবশ্য
উত্তর বঙ্গের পুলিশের আধিকারিক রা তাঁকে সন্মান করে এবং সহযোগিতাও করেন ।
বিকাশ
দত্ত চা ব্যাবসায়ী ছিলেন বটে কিন্তু তিনি হীরা পাচারের সাথে নাকি যুক্ত ছিলেন এটা অবশ্য শোনা কথা । প্রমাণ
না
পেলে তো কিচ্ছু বলা যাবে না । তাই
ওনার কেস হিস্ট্রি স্টাডি করছিলেন ।
বয়
এসে
চা
দিয়ে গেলো । কিছুপরে
রাম
সিং
এলো
।
গুড
মর্নিং স্যার !
মর্নিং
....আয়
। এই বলে মি :সেন সকালের মর্নিং ওয়াকের বিবরণ দিলেন রাম সিংকে ।
রাম
সিং
সব
শুনে বললো স্যার আপনি কিন্তু একা বেরুবেন না । আমাকে
ডেকে নেবেন । ওই
যে
দুজন এসেছিল ওদেরও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় আছে তাই ওরা রাতেই গা ঢেকে কাজ করে ।
এর
মধ্যে হোটেল বয় এসে একটি খাম মি :সেন কে দিয়ে গেলো !
এখানে
খাম
কে
দেবে ?আর ......!তিনি
চটপট খামটি ছিঁড়ে ফেললেন । তা
থেকে একটি চিরকুট বেরুল । তাতে
লেখা "মি :সেন ,সাবধান !আর বেশি দূর এগুবেন না । সম্ভব
হলে
ফিরে যান ।
চিরকুট
পড়েই তিনি বয় কে ডাক দিলেন । বললেন
এই
খাম
কোন
দিয়া ?
বয়ের
বর্ণনায় বুঝলেন কোন শত্রু আদমি । বয়
চলে
গেলে রাম সিং বললো সবে শুরু স্যার !
একটু
মুচকি হেসে অলোক সেন বললেন এটাই তো চাই নইলে গোয়েন্দাগিরি যে সন্যাসীর রূপ নেবে রাম সিং । কুছ
পরোয়া নেহি ...!
সকাল
এগারটায় দুজনেই বেরিয়ে পড়ল সেই হোটেলের উদ্যেশ্যে । পাহাড়ের
রোদ
ঝলমল করছে । কী
মনোরম দৃশ্য । যদিও
মাঝে মাঝে গতরাতের ঝড়ের চিন্হ তা থাক পাহাড় সে পাহাড়ই !
মাউন্ট
টাচ্ হোটেল । নামটি
বেশ
!কেমন যেন টাচি টাচি ভাব । হোটেলের
ম্যানেজারের কাছে যেতেই বললেন রুম তো নেহি হোগা !
ম্যানেজারকে দেখে তো বাঙালি বলেই মনে হলো মি :সেনের । তিনি
বললেন -আমরা রুম নিতে আসিনি !আমার নাম অলোক সেন ,ডিটেক্টিভ !
ওহ্
!আপনি ......!আপনি সেই রমেশ তেওয়ারির মার্ডার কেসে র সেই দুঁদে গোয়েন্দা মি :সেন ?
এই
তো
চিনেছেন !আপনার হোটেলের বিকাশ দত্ত খুনের একটু ইনভেস্টিগেশন করবো !
ম্যানেজার
বাবু তড়িঘড়ি ওনাকে নিয়ে রিসিপশন এ বসিয়ে.বললো ঠিক আছে একটু বসুন আমি সব দেখিয়ে দিচ্ছি ।
রাম
সিং
এদিক সেদিক ফলো করছিল যেটা ওর কাজ বলতে গেলে অলোক সেনের অ্যাসিসটেন্ট ।
ওদের
নিয়ে ম্যানেজার বাবু সেই রুমের দিকে গেলো । দরজা
সিল করা লোকাল পি এস থেকে সিল কড়া হয়েছে । তবে
অলোক সেন বললে হয়তো পুলিশ এসে খুলে দিতো কিন্তু তা করলেন না মি :সেন ।
কবে
কখন
সব
সময় লিখে নিলেন ডায়রিতে ।
হোটেলের
সিঁড়ি দিয়ে নামতেই একটি গুলির আওয়াজ !কিছু বোঝার আগেই রাম সিং মাটিতে পড়ে গেলো । ডান
হাত
চেপে ধরছে বাঁ
হাতের
মাসেল ,বইছে রক্ত । নিমেষে
সিক্স বোরের রিভলভার টা হাতে উঠে এলো মি :সেনের । ততক্ষণে
কেউ
একজন ছুটে পালিয়ে গেলো ঝাউ বনের আড়াল থেকে । কিছুক্ষণ
থমকে দাঁড়ালেন অলোক সেন । লোকজন
ছুটে এসেছে । দ্রুত
রাম
সিং
কে
কাছে পিঠের এক ম্যেডিকেল দোকানে নিয়ে যাওয়া হলো । কেননা
গুলিটি ওর মাসেল ছুঁয়ে বেরিয়ে গেছে । একটি
ব্যান্ডেজ দিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ পত্র দিলো সেই দোকানের ডাক্তার বাবু ।
দুজনে
হোটেলে ফিরলেন । না
রাম
সিং
কে
আর
আলাদা ঘরে রাখা যাবে না । তাই
ম্যানেজার কে বলে দুই বেডের একটি রুম দিতে বললেন ।
এই
ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই । আর
এতো
কেস
ঘেঁটেছেন কিন্তু এরকম অভিজ্ঞতা হয় নি । রাম
সিং
তো
বেশ
কটা
কেসের সাক্ষী ।
আজ
রাম
সিং
কে
দেখে মনে হলো সে একটু ঘাবড়ে গেছে ।
জিজ্ঞেস
করলাম -কিরে ভয় করছে ?
কি
যে
বলেন স্যার !আপনার সাথে যখন আছি তখন জীবনের ঝুঁকি থাকবে না এটা হয় ?আর কাজ টি তো তেমনি ।
মি
:সেন
বললেন -ওরা ফোন করেছিল কি ?
হ্যাঁ
!রাতে খবর দেবে !
তাহলে
আর
এবেলা আমরা বিশ্রাম নেই !
----------------------------------------------
রাত
ঠিক
আটটায় ওরা এলো ।
কিছু
ছবি
নিয়ে । ছবিতে সেই হোটেলের রুমের ছবি । টেবিলে
বসে
আছে
বিকাশ দত্ত আর হোটেল মালিক চিরঞ্জীব পাল ।
সামনে
একটি ব্রিফ কেস ।
এবার
লামা বললো জানেন ওই ব্রিফ কেসে ছিলো হীরে । ওরা
দুজনেই ব্যবসা করতো । এই
চালানে প্রায় পাঁচ কোটির হীরে ছিলো । চিরঞ্জীব
বাবু লোভ সামলাতে না পেরে ওনাকে মেরে দিলেন ।
মি
:সেন
জিজ্ঞেস করলেন এতো সব তথ্য তুমি জানলে কী করে ?
এটা
এক
রকম
মিরাকেল বলতে পারেন ।
আমি
আপনাকে ওনাদের ভয়েস রেকর্ডে কথা গুলো ও শুনিয়ে দিচ্ছি ।
তা
হলে
তুমি পুলিশে জানাও নি কেন ?
মি
:সেনের কথায় লামা বললে জানেন তো যাঁর নুন খাই তাঁর সাথে গাদ্দারি করা চলে না যে !এই হোটেলের মালিকই একদিন আমাকে পথের থেকে টেনে এনে জীবন দিয়েছিল !আজ যা কিছু সব তাঁর জন্য তবে এই কাজে আমার সায় ছিলো না । আমি
বলেছিলাম বন্ধুকে মেরো না । একেবারে
জানে মেরে দিলো ।
মি
:সেন
কথা
দিয়েছিল তাকে ফাঁসাবে না তাই সব ডকুমেন্ট কাছে নিয়ে রাখলো এবং কথা মতো তাকে পঁচিশ হাজার টাকার একটি চেক দিয়ে দিলো ।
এবার
দুজনেই চলে গেলো । আসামী
তো
হাতের মুঠোয় কিন্তু লোকাল থানা কিছু করতে পারবে না । তাই
কাল
আবার শিলিগুড়ি ফিরতে হবে ।
আজ
রাতটা এখানে ভালোয় ভালোয় কাটলে হয় ।
গভীর
রাত
। মনে হলো কারা যেন ফিসফিস করছে । আস্তে
আস্তে আওয়াজ টা জোরালো হলো । এবার
দরজায় লাথি ।
হাতের
ব্যাথা টা বেড়েছে তাই এক রকম চোখ বুঁজেই শুয়ে ছিলো রাম সিং । ধরমর
করে
উঠে
পড়ল
। সাহেব ও সাহেব ?দুবার ডাকতেই হাতটা বালিশের নিচে চলে গেলো । ততক্ষণে
ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে রাম সিং । দরজায়
ধিমধাম লাথি পড়ছে । এক
মিনিট ভেবে নিয়ে অলোক সেন বললেন রাম সিং ঠিক ওরা টের পেয়েছে আমাদের হাতে প্রমাণ গুলো এসেছে । কী
করা
যায়
?
রাম
সিং
বললো স্যার এই দরজা ভাঙতে পারবে না । বরং
আপনি শিলিগুড়ি থানায় ফোন করুন ওরা পাহাড়ের পুলিশ কে মেসেজ দিক তা না হলে কাজ হবেনা ।
হলোও
তাই
। ঠিক মিনিট কুড়ি পরে মনে হলো বাইরে হুটার বাজিয়ে কোন গাড়ি এলো । হঠাৎ
একটি ফোন এলো আপনারা নিরাপদ স্যার !ওদের ধরা হয়েছে ।
এবার
অলোক সেন দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলেন । প্যাসেজ
-এ
দু
চার
জন
পর্যটক কৌতূহল চোখে ইতিউতি দেখছে !
অলোক
সেন
চুরুট হাতে পায়চারি করতে লাগলেন ।
প্রায়
ভোর
হয়ে
এসেছে । রাতের ঘটনাটির সময়ই শিলিগুড়ি থানায় বলা ছিলো তাই দুজন আর্মড ফোর্স আর ওদের একটি পাহাড়ী জিপ গাড়ি এসে দাঁড়াল । মি
:সেন
রক্ষীদের অপেক্ষা করতে বলে তৈরি হয়ে সব গুছিয়ে রওনা দিলেন শিলিগুড়ির উদ্দ্যেশে !
ঝাউ
বন
ফার
পাইন গাছ গুলো মনে হলো তাকিয়ে আছে যুদ্ধ জয়ের উল্লাসে । ভাবলেন
এবার চিরঞ্জীব বাবু আপনি কোথায় যাবেন ? বললেন রাম সিং জীবনে অনেক কেস করেছি কিন্তু এরকম অভিজ্ঞতা অন্য কোথাও হয় নি । পথের
একটি টার্নিং পয়েন্টে হঠাৎ লামা দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছে । গাড়ি
দাঁড়াতে বললেন মি :সেন
। লামা এগিয়ে এসে বললে স্যার একটু আগে আপনার হাতের আসামী আত্মহত্যা করেছে তাঁর নিজের হোটেলে ।
আর
শিলিগুড়ি যাওয়া হলো না । গাড়ি
র
মুখ
ঘুরিয়ে আবার প্যারাডাইস লজে নতুন রহস্যের সন্ধানে !---------
অবেকটাই চেনা ছন্দে লেখা। ভালো। তবে নতুনত্ব পেলাম না।
ReplyDelete