কবিতা –
সদুপদেশ
প্রেম নিয়ে মেতে আছে দেখি
সারা বিশ্ব
বাকি সব থোড়বড়ি কোথায়
অদৃশ্য।
ফরওয়ার্ড হচ্ছেন আশুতোষ
ভটচাজ
( জানি তিনি
চুমু নিয়ে অভিধানী বটগাছ)
দেখে শুনে খেপে গেছে সেলফি
ও আয়না
শুধু এক চুমুটাই ওর সাথে
যায়না।
ইমোজিরা খুব খুশি, নাচে ধেই
ধিনতা
লাভ ইউ যায় কি বলা
হার্টসাইন বিন তা?
আমি বলি love হলো
লোকসানী সওদা
প্রেম করে সুখ কার দেখি
ভেবে কও তা
লায়লা মজনু আর জুলিয়েট
রোমিও,
শেষে গিয়ে কি যে হাল, দেখে ভাব
জমিও
তবুও অবাধ্য মন বারণ কি
শুনবে,
কটা চুমু ফ্রী পেলো প্রেমে
সেটা গুনবে।
বলে দিই ,ফ্রী নয়,
চুমুরা মহার্ঘ,
নিজে থেকে চেয়ে নেওয়া
বংশের ঝাড় গো।
যিনি দেন চুমু ঠোঁটে, তিনি হন
মালকিন,
হাতজোড় করে রেখো, পরে যত
গাল দিন।
বস্তুত বলে দেওয়া ওহে তুমি
আমারই,
নতজানু হয়ে থেকো, যত কেন ঘা
মারি।
রিলেশনশিপ মানে বোঝো কি হে
বৎস?
তোমার সাগরপ্রেমে উনি একা
মৎস্য।
ভুলেও কদাপি চোখ ডান বাম
দেখলে,
নরকের অগ্নিতে ভাগ্যকে
সেঁকলে।
গালাগাল তো খাবেই, সাথে মার
পাওনা
( ‘ অত যদি
ঝারি মারো, ওরই সাথে যাওনা!’)
যতোই মিনতি করো , দেখছিনা
তোমা বই,
রাগ হলে প্রিয়তমা কিছু নন
বোমা বই
যাবতীয় দোষত্রুটি, মনে রেখে
দিন তার,
ফেঁড়ে দেবে, ফুঁড়ে
দেবে সে বোমার স্প্লিনটার।
কবে ফুল ভুলেছিলে, লেট ছিলে
আসতে,
ইজ্জত ফালা করে
তারিখের কাস্তে।
এত সব জেনেবুঝে তবু যদি
এগোবে,
আমাকে ডেকোনা বাপু, স্রোতে
যেই বেগ হবে।
ভেসে যাবে জেনে যদি দেয়
জলে ঝাঁপ কেউ,
চেঁচানো বারণ তার যদি আসে
বড় ঢেউ।
আরো কিছু বলতাম, আপাতত থাক
সে
কারণ রয়েছে কাজ, মালকিন
ডাকছে।
No comments:
Post a Comment