কবিতা -
সত্য_স্বাধীনতা
শ্রাবণধারা, তোমার ধারাপাত অবিরাম অবিশ্রাম জানি,
কিন্তু তুমি একবার শুধু ঝরো, একটি শান্তিময় পৃথিবীর জন্য।
ধুয়ে দিয়ে যাও সভ্যতার ইতিহাসের রক্তাক্ত প্রচ্ছদ-
মুছে দিয়ে যাও পৃথিবীর ইতিহাসের যত বিভেদের মানচিত্র-
উড়িয়ে নিয়ে যাও ঝড়ো হাওয়ায় বারুদের কটু গন্ধময় বাতাস-
নিষ্ক্রিয় করে দাও তোমার প্লাবনজলে যাবতীয় মাইন বোমা বারুদ।
কিন্তু তুমি একবার শুধু ঝরো, একটি শান্তিময় পৃথিবীর জন্য।
ধুয়ে দিয়ে যাও সভ্যতার ইতিহাসের রক্তাক্ত প্রচ্ছদ-
মুছে দিয়ে যাও পৃথিবীর ইতিহাসের যত বিভেদের মানচিত্র-
উড়িয়ে নিয়ে যাও ঝড়ো হাওয়ায় বারুদের কটু গন্ধময় বাতাস-
নিষ্ক্রিয় করে দাও তোমার প্লাবনজলে যাবতীয় মাইন বোমা বারুদ।
শুধু তুমি একবার ঝরো একটি শান্তিময় পৃথিবীর জন্য-
যে পৃথিবীর দু'চোখে আঁকা শুধু অনাবিল খুশী আর স্বপ্ন,
যে পৃথিবীর উপর থাকবে নিরাপদ নির্ভরযোগ্য একটি ছাত।
সে'ছাতে উড়াব সাদা পতাকা অনন্ত নীলাকাশের উদ্দেশ্যে-
আমরা গাইব গর্বিত খুশীর গান- সেই আমাদের সত্য স্বাধীনতা।
যে পৃথিবীর দু'চোখে আঁকা শুধু অনাবিল খুশী আর স্বপ্ন,
যে পৃথিবীর উপর থাকবে নিরাপদ নির্ভরযোগ্য একটি ছাত।
সে'ছাতে উড়াব সাদা পতাকা অনন্ত নীলাকাশের উদ্দেশ্যে-
আমরা গাইব গর্বিত খুশীর গান- সেই আমাদের সত্য স্বাধীনতা।
সত্যের বেদীমূলে চেতনের আলোকবর্তিকা জ্বেলে
আজ কোটি আদম সন্তান উপলব্ধিতে জানবে ও শিখবে-
রক্তাক্ত সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীনতাই শেষ লক্ষ্য নয়,
সসম্মানে তার সুরক্ষা-কবচ হওয়ার যোগ্যতাই শেষ প্রার্থনীয়।
আজ এই সব হারানোর অন্তিমলগ্নে এসো সমবেত প্রার্থনায়-
একটি প্রকৃত স্বাধীনতার আহ্বানে উচ্চারণ করি পুণ্যশ্লোক
শুধু অনাবিল মৈত্রী ও ক্ষমার অনন্তগাঁথায় গাঁথা পুণ্যশ্লোক।
আজ কোটি আদম সন্তান উপলব্ধিতে জানবে ও শিখবে-
রক্তাক্ত সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীনতাই শেষ লক্ষ্য নয়,
সসম্মানে তার সুরক্ষা-কবচ হওয়ার যোগ্যতাই শেষ প্রার্থনীয়।
আজ এই সব হারানোর অন্তিমলগ্নে এসো সমবেত প্রার্থনায়-
একটি প্রকৃত স্বাধীনতার আহ্বানে উচ্চারণ করি পুণ্যশ্লোক
শুধু অনাবিল মৈত্রী ও ক্ষমার অনন্তগাঁথায় গাঁথা পুণ্যশ্লোক।
অনুরোধ
ওগো অশনি সংকেত ভরা আকাশ,
ঐ যে নারী শুয়ে ভূলুন্ঠিতা, পর্ণকুটীরে-
ও আমার মা- যার দু'চোখে শুধু আর্ত ত্রাস।
ঐ যে নারী শুয়ে ভূলুন্ঠিতা, পর্ণকুটীরে-
ও আমার মা- যার দু'চোখে শুধু আর্ত ত্রাস।
নরম শীতল জলে ভরা দীঘির মতো নারী,
পদ্মগন্ধে ভরা, শাপলা শালুক মোড়া।
ওর স্বপ্ননীড়ে আজ দিসনে তুই পাড়ি।
পদ্মগন্ধে ভরা, শাপলা শালুক মোড়া।
ওর স্বপ্ননীড়ে আজ দিসনে তুই পাড়ি।
আঁধার ঘরে ভয়ে থিরথিরিয়ে কাঁপে নিঃসাড়ে
আমার মা। যেন ভীরু দীপের শিখা;
প্রলয়ঝড়, নিসনে ওর ঘরের চাল এক ফুৎকারে।
আমার মা। যেন ভীরু দীপের শিখা;
প্রলয়ঝড়, নিসনে ওর ঘরের চাল এক ফুৎকারে।
বহুদিন আগে আমার মায়ের পরণে ছিল শাড়ী-
উজ্জ্বল সবুজ, সাদা আর গেরুয়া রঙা;
গরবিনী ইন্দ্রাণী- আভরনে আবরনে সজ্জিতা নারী।
উজ্জ্বল সবুজ, সাদা আর গেরুয়া রঙা;
গরবিনী ইন্দ্রাণী- আভরনে আবরনে সজ্জিতা নারী।
ধুলোঝড়ের তান্ডবে মা'র সে শাড়ী হল শতছিন্ন মলিন,
সাদা রঙখানা ছিঁড়ে-খুড়ে উড়ে গেল অশান্তির বানী বয়ে
কোন্ কাদা-বালিতে আজ হয়েছে বিলীন।
সাদা রঙখানা ছিঁড়ে-খুড়ে উড়ে গেল অশান্তির বানী বয়ে
কোন্ কাদা-বালিতে আজ হয়েছে বিলীন।
অত্যাচার ও ভ্রষ্টাচারের প্লাবনে সব ভেসেছে,
ত্যাগ-তিতিক্ষায় মায়ের সেবার সময় কোথায় এখন?
গেরুয়ারঙা নক্সী পাড়খানা শাড়ী হতে যেন কখন খসেছে!
ত্যাগ-তিতিক্ষায় মায়ের সেবার সময় কোথায় এখন?
গেরুয়ারঙা নক্সী পাড়খানা শাড়ী হতে যেন কখন খসেছে!
'উশৃঙ্খল' প্রতিবাদী তারুণ্য নিহত হল যখন,
বুদ্ধিজীবি চিরবৃদ্ধদের পদভারে - নিজহাতে মা
তার শবদেহ ঢেকে দিল সবুজ রঙখানি দিয়ে কখন।
বুদ্ধিজীবি চিরবৃদ্ধদের পদভারে - নিজহাতে মা
তার শবদেহ ঢেকে দিল সবুজ রঙখানি দিয়ে কখন।
সেইসঙ্গে নীল চক্রখানাও কখন হয়েছে নিরুদ্দেশ-
অরক্ষণীয়া মা একলা ঘরে স্থবির বসে ভয়ে কাঁপে;
ঘরের উপর আঁধার মেঘ ঘনায় - হিংসা ও বিদ্বেষ।
অরক্ষণীয়া মা একলা ঘরে স্থবির বসে ভয়ে কাঁপে;
ঘরের উপর আঁধার মেঘ ঘনায় - হিংসা ও বিদ্বেষ।
------------------------------------------
Mouli Banik, address-TWILIGHT VIEW , #527, 4TH CROSS, N.G.E.F. layout- 1st stage
Nagarbhavi. Bangalore – 560072, KARNATAKA.
Nagarbhavi. Bangalore – 560072, KARNATAKA.
No comments:
Post a Comment