কবিতা -
বড়ো পুকুরের কথা
গোলমত পুকুর সেটি
উঁচু পাড়ে
ঘেরা,
গ্রামের শেষে সেই পুকুর
ছিল সবার সেরা
।
ছোট্ট বেলায় দল বেঁধে
চান করতে
যেতাম --
লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে সবাই মিলে
কী মজাই না
পেতাম।
দক্ষিণের ঐ আমড়া গাছে
একে একে চড়ে,
ডাল থেকে ঝাঁপ দিয়ে
জলে যেতাম
পড়ে ।
বিশাল উঁচু খেজুর গাছে
থাকত কাঁচা পাকা ;
টুপ করে পড়ত জলে
আনত সমু
কাকা।
ছোট ছেলে বাবার সাথে
শিখত কাটা
সাঁতার ,
ধীরে ধীরে নামত জলে
ভয় পেত না আর।
শান বাঁধানো ঘাটে রোজ
আসত নতুন বধূ
লাজে রাঙা মুখে শুধু
ঝরত হাসি মধু ।
জামের গাছে থাকত কত
নানা পাখির
বাসা
তালের গাছে বাবুই পাখি
গড়ত বাসা
খাসা।
বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়ে
পড়ত যখন জল
পুকুর ভরা কালো জল
করত টলমল।
সকাল বেলা পাখিরা সব
ডাকত
কিচিরমিচির
পুকুরের জল শুনত বসে
হয়ে
কেমন থির।
শীতের দিনে তেল মেখে
জলে নামার
কালে
পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে যেতাম
ঝাঁপ
মারারই তালে।
আজকে দেখি পুকুর পাড়ে
কারোর দেখা
নাই,
বাড়ি বাড়ি স্নানঘর আজ
কে পুকুরে যায় ?
ছেলেরা আজ দল বাঁধে না
একা একা
থাকে,
দাদু দিদার দরকার নেই
বাবামাকেই ডাকে।
কেউ তো আজ ঝাঁপ মারেনা
তার জলে এসে
,
তাইত আজি পুকুর খানি
একলা
কাঁদে বসে।
ছোট্ট পুকুর হলেও তার
নামটি
বড়ো পুকুর
কাউকে আর ডাকে না সে
অভিমান সবার
উপর।
No comments:
Post a Comment