কবিতা -
এখন শৈশব
হারিয়ে ফেলছি সমম্ত বিকেল। শৈশব, সাঁঝবেলার ধুনোর ধোঁয়াশা।
লালপেড়ে, আটপৌরে, পৃথিবীরা অাজ যেন বড্ড পৌরাণিক।
মেঠো রাস্তায় চঞ্চল দুপুরেরা নির্বাক । নির্বাক ঘরে ঘরে আলসেমি পুঁথিপাঠ ভীড়।
এখন জীবন বড় অ্যান্ড্রয়েড ময়। কাঁদে রিক্ত খেলার মাঠ। কাঁদে ভাঙাচোরা খেলনাবাটিরা।
এমনটি হবার কথা বলেনি শৈশব। এমন চৈত্রমাস বিরহের রাঙামাটি গায়ে। তুমি তো সকাল ছিলে সারাদিনব্যাপী। এখন সন্ধে মেখে পার কর আঁধারযাপন।
সেই বটগাছ ঝুরি ধরে দাঁড়িয়েই আছে। আছে আমাদের দোল দোল খেলার ছোঁয়ারা।বড় হয়ে ওঠা। কাঁচের গুলতি নিয়ে হারা আর জেতা।
এখন ওগুলো বড় ফ্যাকাশে-রঙিন।
হেরে গেছি আজ। হেরে গেছে শৈশবও আজ। সেই মাটি ভুলে গেছে সোঁদা-গন্ধ তার। প্রথম বৃষ্টি গায়ে মেখে।
ফড়িংয়ের পিছু পিছু ঘাসে ঘাসে দৌড়। সে আনন্দ বড্ড সেকেলে। এখন তো ভয় বড় দেয়াল দিয়েছে তুলে আকাশে বাতাসে।
পথে প্রান্তরে ধুলোতে 'ধারি'তে 'সীতাহরন', 'ঝারুলঝাপ' এখন বন্দী সব ফোকরে ফোকরে।
শৈশব শৈশব জানে। যৌবন মৌবন। এখন শৈশবেরা যত বুড়ো হয়ে গেছে।।
No comments:
Post a Comment